( অর্থাৎ) সমালোচনা-সংবলিত ঈশ্বরচন্জ বিদ্যাসাগরের জী শ্রঙ্ছিরিলীল, সরকার

কলিকাতা ১২নং সিকদারবাগান-বানব- পুস্তকান: সাধারণ পাঠাগার বা তৎসহ-সম্পাদক

পপ

কলিকাতা,

৩৪৯ সক ইত বাসীীেসিন রে

উতমর্গ-পত্র।

ধাহার সহায়স্তায় পবিত্র সাহিত্য-মন্দিরের এক প্রান্তে প্রবেশ করিবার প্রকৃত গথ গাইয়াছিলাম, সেই শ্র্/স্পদ সহৃদয় হুহৃদ-সহায় শীযুক্ত কেদারনাথ খিত্রকে এবং ধাহার সন্গদয়তা় কেদারনাথকে সুহনদস্বর্ূপে পাইয়াছিলাম, সেই প্রিয়তম মিত্র শ্রীযুক্ত নৃত্যগোপাল বন্ুকে দীনের সামান্ত সাহিত্য-সন্বল “বিদ্যাসাগর” উৎনষট হইন্স।

পিই

নিবেদন।

বিধি বিড়ম্বনায় “বিদ্যাসাগর” যথাসময়ে প্রকাশিত হয় নাই তিন মাস শধ্যশীয়ী ছিলাম। দৌর্বল্য জন্য ছুই মাদ "ধিদ্যাসাগর* সন্বদ্ধে কোন কাজ করিতে পারি নাই। ইহা অবশ্ঠ বিড়ম্বনার প্রকৃষ্ট প্রমাণ।

বিদ্যামাগর মহাশয়ের সহোদর শীমুক্ত শভুচ বিদ্যারত্ব মহাশ়, জর্বপ্রথম বিদ্যামাগর মহাশয়ের জীবনী প্রকাশ করেন। তাহার নিকট আমার জর্াগ্রে কৃতজ্ঞঙা-স্বীকার কর্তব্য বিদ্যাসাগর" প্রঞাশে অনেকেই অনেক প্রকারে আমাকে দাহাষ্য করিয়্াছেন। পুস্তকের অভ্যন্তরে তীহাদের মামোল্পেখ আছে। আমি তীহাদ্দের নিকট চির-কৃতজ্ঞতা- পাশে বন্ধ রহিলাম।

বিদ্য[%. ] মহাশদ্বের পুত্র শ্রত়ু নারায়ণ বন্যোপাধ্যায মহাথয়, জামাকে অনেক চিতি-পত্র দিন] সাহায্য করিয়াছেন। তাহার নিকট বিদ্যাসাগর মহাশয়ের জীবন-ঘটত ষে সমুদয় চিঠি-পত্র ছিল, সে সমুদয়ই পাইবার আশ! পাইয়াছিলাম। আমার ছরদৃষ্টশতঃ তহার কতক হস্তাস্তরিত হইগ্কা পড়ে। যাহা হউক, তিনি আমাকে যে সব ছুর্লত আবশ্যক চিঠি-পত্র দিয়াছেন, তাহার জন্ত তাহার নিকট আমি চির-ঝণী।

আমি বহু কষ্টে, বহ শ্রমে এবং অর্থব্যপ়ে যে সমস্ত উপকরণ সংগ্রহ করিয়াছি, হয়ত তাহাদের কাহারও কাহারও উপধুদ্ধ ব্যধহার করিতে পারি লাই। আশ। আছে, ভব্য্যিতে আম

1/০

. ঈপেক্ষা। যোগ্যতর জীবনী-লেখকের হস্তে তাহাদের সন্ধ্যবহার . হইবে আমি যাহা সংগ্রহ করিয়াছি, তাহা ধরি কোন জময়, সাধারণের অম্পত্তিরূপে, সাধারণের হিতার্থে নিয়োজিত হয়, তাহা হইপে, আমার সংগ্রহ-শ্রম সার্ক হইবে।

নানা কাপে, মূল ইংরেজী চিঠি-পত্র প্রকাশ করিতে পারিলাম না। মুলের সৌন্দর্য অনুবাদে রক্ষিত হয় না। তবে অনেকট। ভাবগ্রহ হইয়া থাক্চে। এই জন্য ইংরেজী চিঠি, পত্রাদির বাঙ্গালায় মন্্ানুবাদ দিয়াছি।

ইৎরেজী চিঠি-পত্রাদির অনুবাদ সম্বন্ধে আমার পরম শ্রদ্ধা- স্প বন্ধু শ্রীযুক্ত ক্ষীরোদপ্রদাদ বিদ্যাবিনোদ এম, এ, শ্রীযু্ রাজেজ্রনাথ বন, বি, এল, মোদরপ্রতিম শ্রীমান্‌ নারায়ণচন্্র ঘোষ, বি, এ, আরমান কানাইলাল ঘোষ এবং আমার শ্্ধাস্পদ 'সহকানী শ্রীযুক হরিমোহন মুখোপাধ্যায় জনেকটা সাহায্য করিয়াছেন। তৃতপূর্ধ্ব ডাইরেক্টর টনি সাহেব, অনুগ্রহপুর্ক্বক সংস্কৃত-কলেজের পুরাতন কাগজপত্র দেখিবার অনুমতি দিয় ছিলেন সংস্কত-কলেজের ভূতপুর্্ব অধ্যক্ষ মহা-মহোপাধ্যান্ পণ্ডিত মহেশচন্্র স্তাক়রত্ব মহাশয়, ততৎমন্বন্ধে সহায়তা করিয়া" ছিপেন। নিম্নলিখিত পত্রে তাহার প্রমাণ,

শীঞ্রনুর্গ। সংস্কৃত কলেজ, শরণখ। ৮৮ ৯২ সবিনয়নিবেদনমিদমূ।

যুক্ত ডিরেই্র সাহেবের চিঠি আসিয়াছে। ১বিদ্যামাগর

1/০

মহাশয়ের জীবনী সম্বন্ধে কলেজ হইতে যাহ! অনুসন্ধ'ন কঙ্গেন

তাহ! পাইতে পারেন। ইতি ভবদীয়স্ত

শ্ীমহেশচন্্র শর!

বদযাপাগরকো হন যে চক্ষে দেখিয়। থাকে এবং হিন্দৃন যে চক্ষে দেখা কর্তধ্য, বিদ্যাসাগরের কাধ্যালোচনায় তাহ। বুঝাইবার প্রয়াম পাইয়াছি। মে অন্বন্ধে কতদূর কৃতকাধ্য হইজ্কাছ, তাহারাবচার বিজ্ঞ পাঠকগণই কঞিবেন।

পিচ পন জলজ

প্রার্থন! |

মানুষ অপূর্ণ। তাই মানুষের কাজ একেবারে ভ্রমবর্জিত- হয় না। আমি মুঢ়, প্রতিজ্ঞা করিয়াছিলাম, *বিদ্যাসাগরকে” একেবারে ভ্রমশূন্ত করিব। বিশেষতঃ ষোড়শ বর্ধাধিক কাল বাঙ্গালা ছাপাথানাত্র সহিত কুটুন্বিত! করিয়াও যখন আমার এইপনপ স্পর্ঘিত প্রতিজ্ঞা, তখন আষার মুঢ়তা অপরিমেয় অমাজ্নীযু। কেবল ছাপাখানার দোহাই দিয়া আত্ম-নি্কৃ- তির প্রয়াস পাইলে, প্রত্যব্যয় হয়। ছাপাখ।নার ভ্রম অনে* কাংশে অক্ষরগত। আমার ভ্রম বিষয়, ভাব ভাষ' সংক্রান্ত কেবল ভ্রম কেন, কোন কোন স্থানে ক্রটি সংশয় আছে। আমার সবিনয় নিবেদন, পাঠকবর্ম অনুগ্রহপূর্বক অক্ষরগ্ত ভ্রম স্বপ্তৎ সংশোধন করিয়। লইবেন। আত্মকৃত যেভ্রম-ক্রাট

॥$

যুদ্ধিগোচর হইয়াছে, তাহার যথাযোগ্য সংশোধন করিয়া লইতে স্ষুচিত নহি। আমার বুদ্ধিগোচর হয় নাই, এমন ভ্রমও থাকিতে পারে। দয়া করিয়া, কেহ তাহ। দেখাইয়া দিলে, অনৃতজ্ঞতার কলস্কে কলুষিত হইব না।

ভ্রম

“পঞ্চম অধ্যায়? ছুইটী হইয়াছে। পাঠক! শেষেরটাকে “পঞ্চম কে)? করিষ়া লইবেন। বিদ্যামাগর মহাশয়ের পুত্রের মাম *নারাফণ” না হইয়া চুই এক স্থানে “নারায়ণচন্দ্র” হই- মাছে? ৪৮ পৃষ্ঠা ত্রয়োদশ ছত্রে পপ্রহারের পরও” না হইয়! “প্রহারের সময়েও” হুইবে। ৫১ পৃষ্ঠার চহুদ্দশ ছত্রে “বালক ঈশ্বঃচন্দ্রকে” না হইয্বা “তাহাকে” হইয়াছে সংস্কৃত সংকীর্ণ- প্রলার াধ'রণে অপ্রচলিত। ৮০ পৃষ্ঠার ধশম ছত্রে “সাধারণ” কথাটি পড়িয়া গ্িগ্ান্থে। ১৮৩ পৃষ্ঠার নোটে পঞ্চম ছত্রে “১৮৯৩ হৃষ্টাবে” না হইয়া! «১৭৯৩ ধৃষ্টাব্ডেশ হইবে ৩০৯ পৃষ্ঠার প্রথম ছতত্র “কুরুদ্মি” কথাটা “কুশ-ভূমি* হইবে। “এডুকেশন কৌন্সিলে”র সেক্রেটারীর নাম মোযেট সাহেব।

কোন কোন স্থানে “যোনাট" হইয়াছে। $৯১ পৃষ্ঠার ষষ্ট ছত্রে “পাঁচ মহত্র” কথাটা 'পঞ্াশ সহ হুইবে।

ইসি 72:25 চা

রায় দীনবন্ধু মিজ বাছাছুৰ |

ভ্রটি।

রাপ্ধ দীনবন্ধু মিত্র বাহাদুরের চিত্র সন্নিবেশিত হইয়াছে। কিন্ত তাহার সম্বন্ধে বিশেষ কিছু উল্লেখ নাই। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের সহিত তাহার ঘনিষ্ঠ সখ্য ছিল। উভয়ের পরি- বারের মধ্যে পরস্পরের এরূপ শ্বনিষ্ঠত। ছিল যে, সহসা] ভিন্ন পরিবার বলিয়া, কেহ বুঝিতে পারিত না। ইহা অপেক্ষা আর বেশী বলিবার স্থান অবশ্য এধানে হইবে না। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের রচিত, সঙ্কলিত অনুবাদিত পুস্তকের মধ্যে কথামালার কথ। কিছু বলা হত নাই। ৰথামাল! স্থুকুমারমতি বালকের দিব্য মুখরোচক। ধে সকল চিত্র সন্নিবেশিত হইয়াছে, তাহাতে এন্গ্রেভার পেন্টার শ্রীযুক্ষ হরিদাস সেনের মাম উল্লিখিত হওয়া উচিত ছিল। অধিকাংশ চিত্র তাহারই অস্থিত। ধারাবাছিকরূপে বধে বর্ষে বিদ্যাসাগর মহাশছ্জের জীবনশটত কার্ধ্যাবলীর ' আলোচনা! হইয়াছে। কোন কোন স্থানে ইহার ব্যতিক্রম ঘটিয়াছে। দৃষ্টাত্ত দ্বরূপ কলেজ-প্রতিষ্টার বিষয় উল্লেধিত হইতে পারে। ভাবোক্ভাষিত হদয়াবেগে বিচিত্রকর্ম। বিদ্যানাগরের একই প্রবৃত্বি-পরিচ।য়ুক ভিন্ন ভিন্ন কার্ধযালোচনায় ছুই এক স্থানে মন্তব্য-ভাবে পুনরাবৃত্তি খটপ্তাছে। একাস্ত বিরক্তিকর বোধ হইলে, প'্ঠকগণ দয়! করিনা, মে অংশ বাদ দিয়া পড়িবেন।

অংশয়।

৩৫১ পৃষ্ঠায় মদনমোহন শর্শা-স্বাক্ষরিত একখানি পর প্রন্কানিত হইয়াছে পত্রধানি প্রকৃত। কিন্ত নাম অন্বন্ধে সংশয় আছে। আমার অহুম্থাবস্থায় এই অংশ মুদ্রিত হইয়ান্িল। মামট্টা মিলাইতে পারি নাই। ছূর্তাগাবশতঃ পত্রধানি অধুনা হস্তচ্যুত। ৫৮৬ পৃষ্ান্ব বিদ্যাসাগর মহাশয়ের রহস্ত-রদের পরিচয়ঙ্থলে লাট-দরবার সম্বন্ধে ঘে কথা লিখিত হইয়াছে, তদ্বিবরণ মাদ্রাজের বারিষ্টার রামন্বামী রাজু বি, কতৃক প্রণীত্ত “্রীঘত্পগ্ডিত রাজতরজিণী” নামক গ্রন্থ হইতে জঙ্কলিত হুইয়াছে। কেহ কেহ ইহার ষত্যত। জন্বন্ধে সনেহ করেন। এমন কি, বিন্যামাগর মহাশয়ের কোন কোন আতীয় ইহাকে কল্পিত বলিতেও কুহিত নহেন। |

শেষ কথ।।

“জনভুমিতে” বখন বিদ্যাসাগর মহাশয়ের জীবনী প্রকাশ করি, তখন নিয়লিধিত বিষয়গুলি সংগ্রহ করিতে পারি নাই। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের জীবনীর সঙ্গে এই সধ বিষয় এই প্রথম প্রকাশিত হইল।

[ 1] একাদশ অধ্যায়। বিইন্ন প্‌ বাঙ্গাল! ইতিহান, হূর্াচরণের পরিচয়, ফোর্ট উইপিয়ম

কলেজে পুনঃগ্রবেশ, ইংরেজি লিপি-পটুতা, গুভকরী, জুনিয়র, নিনির়র পরীক্ষা, গুণধানের পুরস্কার, পুত্রের জন্ম ভ্াতৃ-

বিয়োগ রর ২২১--২২৫ দ্বাদশ অধ্যায়। লাহিভ্যধ্যাপকভা, কৈকিন্নং, তর্কালক্ষারের পত্র, রিপোর্ট জীবনচপিত উঃ ২২৬---২৫৩ ভ্রয়োদশ অধ্যায়।

রমময় দত্তের কর্ধত্যাগ, বিদ্যানাগপরের প্রিদিপালপদদ, কার্য-হ্যবশ্থ1, ছাত্র-ত্রীতি, কারিক-দণগখিধানের নিষেধাজ্ঞা, রহস্ত- পটুভা, শিরঃপীড়।, বিটন্‌ স্কুলের নন্বন্ধ যোধোদয় *** ২৫৪-২৭১

চতুর্দশ অধ্যায়। সংস্কৃত কলেজে শৃত্র ছাত্রগ্রহণের ব্যবস্থা, কলেঞ্জের বেতন- আ্যবস্থ1, উপক্রমণিক1 ব্যাকরণ, যীরনিংহে ডাকাইতি, আত্মরক্ষা ককিন্নং, ডাকাইতির কারণ, নীভিযোধের রচদা, ঝভুপাঠ |কোঁমুদী ব্যাকরণ, শিক্ষাপ্রবালীর পরিবর্তন, পাঠ্য-প্রণরন-দ তা, বীরসিংহ আছে বিদ্যালর, বেতন'5দ্ধ বিদ্যালয়ের বায়. ২৭২--২৮৩

পঞ্চদশ অধ্যায়। স্কুধ-ইন্দপেক্টরী পনগ্রান্তি, নর্মাল স্কুল, সফরে নহদয়তা, মাতৃনাষে উচ্দুন, জননীর দয্ব!, অন্থগত-পালদ, বন্ধুর আদর, শুঃগ্রহে আগ্রহ, সংস্কৃত তা! লাহিত্য-ধিষগক প্রস্তাব, দান- পদ্ধতি,নংস্কৃত কজেজে ইংরেখির প্রদার শকুত্তলা/! “** ২৮৪ --৩০১

[| ]

ষোড়শ অধ্যায়ু। বিষয় পৃষ্ঠ! বিধবা- ব্যাহ টি ৩০২-৩৬০ সপ্তদশ অধ্যায়। ধর্ণপরিচয়, চরিতাঁধলী, বিশ্ব ধিপ্যালমন, হেলিডের নিকট প্রতিষ্ঠা ইয়ও মাহেষের লহিভ মনান্তঃ পদত্যাগ ৩৬১-৮৩৭২ অষ্টাশ অধান।

স্বাধীন জীবনের আভা, ওকালতীর প্রত্তি তাগ,পিভামহীরু মৃতু, পিভামহীর শ্রাদ্ধ, মন্তরগ্রহণে অপ্রবৃ্চি আচার-অমৃ টান, নংস্ৃত ঘন্তরও ডিসজিটরী, পরোঁপকান্র উপকারে কৃতজ্ঞতা ৩৭৩--৩৮৫

একোনবিংশ অধ্যায় বিধব1 বিবাঁছে ধণ, ব্ধবা-ধিবাহ নাটক, দান-দাক্ষিণা, ইংরেজি দ্কুধ, কৃত্তজ্ৰতা, হিন্দু-পেটরিয়ট, মোমগপ্রকাশ, বর্ধমান- রাজের লহিত ঘনিষ্উতা, নোমপ্রকাশে বিদ্যাভূষণ সংবাঁদ- পত্রের নংক্ষিপ্ত বিষর্ণ ৩৮৬ ৮৪৪৪

বিংশ অধ্যায়। মহাভারতের অন্থবাদ, নীভার বমবান, অমারিকত1, ঘোঁষনের বিক্রম, গুরুগ্ক্ি, রাজ! এঈশ্বরচন্তর, মধুরে-কঠোর, ৬রমাঞরদাঁদ রায় আত-ত্রাণ ফি ৪০১-৮৪১৫ একবিংশ অধ্যায় মাইকেল বিদাদাগর ৪১১--৪.৮ দ্বাবিংশ অধ্যায়। ধমর্ণের ব্যবহার অযাচিত দান রঃ ৪১৯--৪২৪

| ও]

ত্রয়ৌবিংশ অধ্যায়।

বিষ পু্ঠ11 পু; কার্ধ/-প্রার্থনা, ওয়উডদ্‌ ইনিছ্িটিউনন শাস্ত্ীত ব্য রঃ ৪২৫-৪৩১

চতুর্তিংশ অধ্যায়। যেটপলিটন না 8৪০---8৪৮

পর্কবিংশ আযাধয়। আজ -হতনি1, বেখুমে নরম, বেখুনে মিদ্‌ পিগট, পিতার কাশীধান, প্রননকূমার হূর্ভিক্ষ। ৪৪১-_২৬১ ষড়ুবিংশ অধ্যায়ু। রাজ প্রতাপচন্ত্র, পাজ-পরিবার, অআধাধ লাক্ষাং অনাহতের অত্যাচার, দেধোত্বর নম্পন্ত, দরুণ হুর্ঘটন| পারিযারিক পার্ধক্য রঃ ৪৬২-+৪৭৫ সপ্তবিংশ ঘধ্যান্ন। ভ্রাতার ্বতিমান, শত্গুলাধ পরিত, াজ| রাঁধাকাপ্ত, হিন্দু- পেটরিপনটে পত্র, জো কক্জার বিধাহ. রাঁমগোপাজ ঘোষ, নারদ. গ্রনাদ, তাটাল-কুণ, রাণী কান্যায়নী, ইনৃকমূ টক হরচন্ ঘোষ ৮৯৪ ৪৭৩ --.৪৮%

অষ্টাবিংশ অধ্যায় ) ছাপাখানার নত, মনোবেদম1, হোষিওপ্যাথিক্ক চিকিৎসা, বর্ধমামে বিদ্যানাগর, ঝণের জন্ত ঝণ বিধব| ধিবাহে জাগুন1 ৪৮২--3৯৭

একোনত্রিংশ অধ্যায়। পাচঙ্কের অপরাধ, বদ্ধ ঘনে ম্যালেরিয়। দানে কৌতুক ৪১৮--৫০৪

[ ]

ত্রিংশ অধ্যায়। বিষয় | | পুষ্ঠ]। জান্তিবিল1স, রাষের রাজযাভিধেক ভাষা-চর্চ| €০৫-৮৫১২ একত্রিধশ অধ্যায়

গুহ-দাহ, ছাঁপাখান।-বিক্রঘ, মেধদূত, দেশ-স্যাগ, সত্তধ্য-রক্ষা, ডাক্তার দুর্গাচঃণ, বিষয় রক্ষা, ভাক্তীর নরকার, মহারাজ মহাতাপ চাঁদ, নভায় সাহাধ্য পুত্রের বিবাহ ৫১৩-৮৫২৫

দ্বাত্রিংশ অধ্যয়ু। কারীতে জননী, মাতৃ-বিয়োগ, পিতৃ-সেব, কাশীর কার্য্য, হিন্দু-উইল, রাজ! নতীশচন্ত্র, রাণী ভূবনেশ্বরী, উত্বর-চরিত অভিজ্ঞান শকুন্তলামাটক ... ৫২৬-৮৫৩৬

ত্রয়স্তিংশ অধ্যায়

.. পাদরী ডগ, কেশবচন্্র দেন, রাজনারারণ বনু রামকৃ্ পরমহংন 4৪৪

১৪৪ ৫৩৭-"৫৪১ চতুস্ত্িংখ অধ্যায় বছ-বিষাহ ৪৪ ৪৪৬ ৫৪২.-৮৫৪৭ পঞ্চত্রিংশ অধ্যায়। [দ্বিতীয় কন্ঠার খিধাত, পুতর-বর্জান আনুইটি কও ৫৪৮--৫৫৫ ষটটত্রিংশ অধ্যায়। | স্বাধীন বন্ধ, জাষাতার যৃত্যু, দুহিষ্ভা-দৌহিজ যেউপলি- উনের শাখা * ৫৫৭৫ সপ্তত্রিংশ অধ্যাম়্।

. পাছ্‌ক্ষা-ঘিত্রাট ৫৬৩--৫৭২

বিদ্যামাগর।

বিদ্যামাগর।

অবতরণিকা।

দ্বিতীয় দাতা-কর্ণ এবং দয়ার সাগর অনাথ-বান্ধৰ বছের “বিদ্যাসাগর? ১৮৯১ তবঃ অক ২৯শে জুলাই,বা ১২৯৮ সালে ১৩ই শ্রাবণ, মঙ্গলবার রাত্রি ২টা ১৮ মিনিটে ইহলোক পরিত্যাগ করিয়াছেন।

বলা বাহুল্য,_-«বিদ্যাস্াগর” বলিলে, ঈশ্বরচ্জ বিদ্যা- সাগরকেই বুঝায়। দেই বিশ্ব-বিশ্রুত “বিদ্যা সাক্ষর” প্রায় তিন বংমর হইল, আমাদিগকে পরিত্যাগ করিয়া, চলিয়া গিয়াছেন। কর্মক্ষেত্রে, সেই কর্ম-শূর, আপন কর্ম সাধন করিয়া, অপেক্ষাকৃত অল্পতর ভাগ্যহীন ব্যক্তিবর্গকে কর্শের শিক্ষা-দীক্ষা দিয়া, স্বস্থানে প্রত্যাবর্তন কনিয়াছেন। জীবমাত্রের এই অবস্থা দেই আদ্যাশক্তি মূল প্রকৃতির এই ব্যবস্থ1। অবোধ মায়াময় ভীব আমরা, মায়া-মুগ্ধ হইয়া, সব তত বুঝিষ্বাও, বুঝিতে পারি না। অনিত্য সংদারে কেবল বিয়োগ- বিলাপেই অধীর হইয়া পড়ি। তাই বিদ্যাসাগরের স্মৃতিতে

বিদ্যাসাগর |

এখনও বিষ্বোগ-বাড়বানল প্রজলিত হইয়া উঠে। যেষায়, সে তআর আসে না। যাঁয়)কিন্তম্মৃতিযেজাগে! স্মৃতি নয়; সে যেজালাম্মী জাল! ! সে জাল ভুলি কিসে ?

বাহার করুণায় শত শত নিরন্ন নিরাশ্রয়, অন্নাশ্রয় পাইত; ধাহার আশ্রযজে থাকিয়া, অগণিত অনাথ আতুর দীন হীন হুঃস্থ দরিদ্র অসহায়, আত্মীয়-নির্বিশেষে প্রতিপালিত হইত ; যাহার অপার দয়!-দাক্ষিণ্যে কপর্দকহীন অধমর্ণ, উত্তমর্ণের নিদারুণ নিপীড়ন হইতে রক্ষা পাইত; ধাহার সন্গদয়তাগুথে মল-মুত্র- পুরিত পরিত্যক্ত রুগ্ন পথিক, গৃহে আনীত হইয়া যথাযোগ্য উষধ-পথ্য পাইত) ধাহার জলত্ত জীবন্ত দৃষ্টাস্তে অতি-বড় ক-পুত্রও অতুল* মাতৃভক্তি শিক্ষা পাইত; ধাহার অসাধারণ অধ্যবসায়, অদম্য উদ্যম-উৎ্সাহ, অকুণ্ঠত নিভাঁকতা, অলৌকিক শ্রমাকুষ্িতা, অসীম. কর্তৃব্য-পরাধণতা, অমানুষিক সরলতা দেখিয়া বিদ্বেশী প্রবাসী লোকেও সবিস্ময়ে সহত্র বার মন্ত্রক অবনত করিত, সেই ক্ষণজন্মা ভাগ্যবান পুরুষ লোকাস্ত- রিত ! বল দেখি, তার স্মৃতি পাসরি কিসে ? |

এখনও চারি দিকে কত কাঙালের পর্ণ-কুটীরে পুর্ণ হাহাকার! এখনও কত অনাথাগ্রমে আকুল প্রাণের মন্ম- ভেদী গভীর চীৎকার ! সব শুনিলে বুক ফাটিয়া যায়! সে সব কথা ভাবিলে চক্ষু ফাটিয়া রক্ত বাহির হয়! ঘেই করুণা প্রতিম অন্থপম করুণাময়ের কথা স্মরণ হইলে হৃদষের শোক- সাগর উথলিয়! উঠে |

বিদ্যা-বুদ্ধিতে “বিদ্যাসাগর” অপেক্ষা বড় অনেকেই

বিদানাগর |

ধাকিতে পারেন; কিন্ত দয়া-দাক্ষিণ্যে তাহ। অপেক্ষা বড় অতি অল্প লোকই দেখিতে পাই। এমন নিরমের অন্দাতা, ভতবার্ডের ততত্রাতা; বিপন্নের উদ্ধারকর্তা এবং দ্বীন-হীনের দয়াল পাশ্নক পিতা, কলিযুগে সংসারে বড়ই বিরল। তিনি ঘে দয়ার অপূর্ব অবতার! তিনি যে মুর্তিমতী দয়ার পূর্ণ পুরুষাকার ! : এক হৃদয়-বলেই “বিদ্যাসাগর” বঙ্গের বিরাট পুরুষ

এক জন বড় লোক হইলে, সমগ্র দেশ বা জাতি বড় বলিয়া সন্মানিত হয়। মাঁকন্‌ গ্রন্থকার দার্শনিক এমার্সন্‌ বড় লোকদের কথায় বলিয়াছেন).

[100 হ906 €095 01) 0৪ ০1. 051৮ 06016?

কলুষমষু কলিকালে, দানে পূর্ণ “সাত্বিকতা” ছুর্নত। বিদ্যানাগরের দ্রানে কিন্তু সাত্বিকতার পুর্ণ বিকাশ তাহার “বিধবা-বিবাহ”-প্রচলন-প্রক্রিয়া হিন্দুর পক্ষে পাপবিদ্ধ তাঁম- মিকতা নিশ্চিতই 7 কিন্তু তাহার দয়া-প্রণোদিত দানের সাত্বি- কতা কেহ অস্বীকার করিতে পারিবেন না। দানে বিদ্যামাগর শাস্ত্রের মর্ধ্যাদ। রক্ষা! করিয়াছেন। শাস্ত্রে আছে ;--.

“্দাতব্যমিতি যদ্দানং দীয়তেহনুপকারিণে। দেশে কালে পাত্রে তদ্দানং সাত্বিকং স্মৃতম্‌ ॥” --শীতা ১৭ ২৭। ঘান করিতে হইবে, ইহা মনে করিয়া দেশ কাল পাত্র বিবেচনায়, অপকারীকেও যে দান করা যায়, তাহাকে সাত্বিক দান কহে।

বিদ্যাসাগর |

এরূপ সাত্বিক ভাবাপন্ন দানের পরিচপ্ন, তীয় জীবন, বৃন্তান্তে পুনঃপুনঃ পাইবেন। বিদ্যাসাগর দান করিতেন: জানিতেন কেবল দাতা গ্রহীতা দ্রানের পৌরুষ-প্রকাশে তাহার প্রবৃত্তি ছিল না। তিনি দান করিতেন, নামের জন্ত নহে। দরিদ্রের সেবা এবং রগ্ের শুশ্রধা, কেবলমাত্র তাহার অকামকলিত নিত্য ক্রিয়া ছিল। দেনার দায়ে খণী, জেলে যাইতে যাইতে পথে বিদ্যাসাগরকে দেখিয়া, বাগ্পাকুল লোচনে কাতর ভাবে তাহার পানে একবার তাকাইলে, চক্ষেতর জলে তাহার বুক ভামিয়া যাইত। কপর্দক হস্তে না থাকিলেও, তদ্দণ্ডে তিনি খণ করিয়াই খণীর খণ পরিশোধ করিতেন।

এরূপ দান অবশ্য স্থসারীর পক্ষে সকল সময় সর্বখ! অন্ু- করণীয় প্রবর্তনীয় নয়। ইহাতে অনেক সময় বিপদগ্রস্ত হইতে হয়। বিলাতী করি গোল্ডশ্মিখ কতকট! এইরূপ দানশীলতাষু মধ্যে মধ্যে বিপদগ্রস্ত হইয়াছিলেন। বিদ্যাসাগর মহাশর়নকে অবশ্ঠ কখন সেরূপ হইতে হয় নাই। হইলেও ইহা যে স্বাভাবিকী সন্গদ্য়তার পরিচায়ক, তাহাতে সন্দেহ কি?

প্রাসাদ-বিহারী কোর্টিপতি হইতে “কর্মটাড়ে*র পর্ণকুটীর-বাসী অসভ্য দীন হীন সীওতাল পধ্যন্ত জানিত,_“বিদ্যাসাগর দয়ার সাগর।”+ এই জন্যই তিনি, হিন্দু, বৌদ্ধ, ধৃষ্টীন, মুসলমান, শিখ, পারসীক, সর্ব দেশের সর্ধ জাতির সমান বরণীয় এবং মাননীয়। স্তাহার পাপবিদ্ধ তামসিক কাধ্যানুষ্ঠান, ভ্রান্ত- বিশ্বা-বিভূত্ভিত দয়ার ফল বুঝিনা, হিন্দুও তাহার প্রতি

বিদ।াসাগর।

ভিন হয় নাই। গেদয়ার সাগর বিদ্যাসাগর কোথায়! দে দান-বীর সর্ধজন-সমাদূত বিদ্যাপাগর কোথায়!

যখন শোকের দারুণ শক্তি-শেল বুকের উপর, যখন ষাতনার অধিস্ূপ মন্দের ভিতর, তখন “জন্মভূমি? পত্রিকায় অধম লেখকের উপর বিদ্যাসাগরের জীবনী লিখিবার ভার পড়িয়াছিল। মনে করিয়াছিলাম, জালা জুড়াইলে ; সম্পূর্ণ উপকরণ মংগ্রহ করিয়া, জীবনী লিখিতে প্রবৃত্ত হইব। জালা ভুঁড়াইল ন1; পাঠকগণ কিন্তু অধীর ; কাঁজেই জীবনীর অসম্পূর্ণ উপকরণ লইয়াই ' জম্মভূমিশতে জীবনী লিখিতে প্রবৃত্ত হুইয়া- ছিলাম। যে কারণে জন্মভূমিতে জীবনী লিখিতে বাধ্য হইয়া- ছিলাম, সেই কারণে জীবনী পুস্তকাকারে প্রকাশ করিলাম।

পুস্তকের উপকরণ জম্পূর্ণ না হউক, অপেক্ষাকৃত অনেক বেশী। সে বিরাট পুরুষের জীবনীর সম্পুর্ণ উপকরণ সংগ্রহ একরূপ সাধ্যাতীত। তবে ইহাতে যথা-জ্ঞাতব্য বিষয়ের অভাব যাহাতে ন। হয়, তাহার জন্ত সাধ্যানুধারে প্রয়াস পাইয়াছি।

জীবনী লিখিব বটে; কিন্তু একেবারে নির্দোষ হইবার সম্ভাবনা কম। কাহারও জীবনী লিখিতে হইলে, গুণাধি- ক্যের সঙ্গে দৌষেরও সম্যক সমালোচনাক়্ সমদর্শিতার জন্মান রক্ষা হয়। মৃত ব্যক্তির গুণ ভালবাসার জিনিষ ;* দোষ নিন্দার কবি সউদদে ববিয়াছেন,__

€]1591: 5176538 1০৮9) 6617 70168 02209617)0,)

বিদ্যাসাগর মহাশয় বহুণুণান্থিত হইলেও দোৌষ-বিবর্জিত

বিদ্যাসাগর |

নহেন। সত্য, সে সব দোষ ভ্রান্ত-বিশ্বাম-মুলক ) তাহা হইলেও দোষ বটে? কিন্ত সময়ে দোষের জম্যক্‌ সমালোচন কর! নানা! কারণে এক রকম অসম্ভব ভাক্তার জনসন্‌ বলিয়াছিলেন যে,“ধাহার জীবনী লিখিতে হয়, কেবল তাহার চরিত্রের উজ্জল ভাগই সমালোচনা করা উচিত নহে; তাহা হইলে তাহার অনুকরণ অসম্ভব হইয়! উঠে তাহারও কিন্ত সে সাহসে কুলায় নাই। তাহার সময়ে ষে সব কবি. ছিলেন, তাহাদের অনেকের অনেক কথ! বলিতে তিনিও কুগ্ঠিত হইয়াছিলেন। তাহার কথা এই ছিল )__ 4৬911050000 88195 07009]. 10101) 116 ঠি:9 9৪ 201 03:611900181160.) অননাভ্যন্তরর ভম্ম-স্ূপে বিচরণ করিতেছি ।” সকল দোষক্রটার সমালোচনা করা অসম্ভব হইলেও, আমরা বিদ্যাসাগর কোন কোন ভ্রম-ক্রটির সমালোচনায় সাহসী হইয়াছি। যে ভ্রমক্রটির ভ্রমাত্বক অনুকরণে হিন্দু-সম্তানের মহতী ক্ষত্তি, তাহা! প্রদর্শন না করিলে .প্রত্যবায়-ভাগী হইতে হইবে গুণ-রাশির সমালোচনা অবশ্ঠ-কর্তব্য যেহেতু তাহ। একান্ত অনুকরণীয় বিদ্যালাগর মহাশয় দরিদ্র ব্রাহ্মণের সন্তান হইয়া) কি গুণে, অন্রাট্‌-মুকুট-লাহ্থন কীর্তির অপূর্ব জ্যোঁ্ম্মান্‌ শিরন্ত্রাণ মস্তকে ধারণ করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন তাহা বর্তমান কালে অনেকেই অবগত নহেন। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের জীবনী-সমালোচনায় তাহা উদ্ঘাটিত হইবে। সেই.

বিদ্যাসাগর |

হেতু জীবনী বোধ হয় বর্তমান ভবিষ্যৎ লোক-সমুহের কথঞ্ি উপকারক উপাদেয় হইতে পারিবে।

যে গুণসংঘাত জন্ত লোকের জীবনী লেখা! আবশ্তক হয়, বিদ্যাসাগর মহাশয়ের সে অনেক ছিল। যে গুণ থাকিলে, মানুষ মানুষকে ভাল বাসিতে চাহে; এবং যে গুণ থাকিলে, মানুষ বাহ জগৎ ভুলিয়া, সেই গুণবানেরই সম্পূর্ণ সত্তায় হৃদয় পূর্ণ করিয়া ফেলে, সে গুণও বিদ্যাসাগরের অনেক ছিল। যিনি এক উদ্ভাবনায় চিন্তা-রাজ্যের সহত্র পথ উন্মুক্ত করিয়া দেন, স্বাহার জীবনী লেখা আবশ্তক হয়। পাঠক, বিদ্যাসাগরের উদ্ভাবনা-শক্ভির পরিচয়ও পাইবেন। যিনি প্রতিভা-বলে গ্রক্কৃতির উচ্চ স্তরে দণ্ডায়মান হইয়া, ইঙ্গিতে উন্নতির সহত্র পথের যে কোন পথ দেখাইয়া থাকেন, আর নিন স্তরের লোকসমূহ তাহাকে ধরিবার জন্য স্তর বহিয়া উঠিতে চেষ্টা করে, তাহার জীবনীর প্রয়োজন আছে। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের জীবনী পাঠে কথারু সার্থকতা সম্যকৃরূপে প্রতিপন্ন হইবে। প্রকুত প্রতিভাষব “চৌম্বক” আকর্ষণের অসীম শক্তি। মানুষ যেখানে যত দ্বরেই থাকুক, আকর্ষণ এড়াইবার যো নাই। যেখানে একূপ একটা “চুক্বক” থাকিবে, সেইখানে কোটি জীব আকৃষ্ট হইবে। .

“প্রতিভা” স্বর্ণের দেবতা প্রতিভা-পুজক সর্বস্ব দিয়। প্রতিভার পুজ করিষ্বা থাকেন। চিন্তাশীল এমার্সন্‌ বলিয়া- , ছেন/তুমি বল, ইংরেজ কাজের লোক, জর্দান সহৃদয়

বিদ্যাস!গর।

অতিথি-সেবক ; ভালেন্সিয়ার জলবায়ু অতি মনোরম," সক্রেমেন্টো পাহাড়ে প্রচুর মোণা পাওয়া যায়; 'করা ঠিক বটে; কিন্তু আমি স্ব সুখশালী, ধনী এবং অতিথিসেবক লোকদিগকে [দেখিতে বা নির্লজল-বাঘুর দেবন করিতে অথবা বহু ব্যয়ে ত্বর্ণ সংগ্রহ করিতে চাহি নাঁ। তবে প্রকৃত, জ্ঞানশালী শক্তিমান ব্যক্তিবর্গের আবাস-ভূমি দেখাইয়া দিতে পারে, এমন যদি কোন চুশ্বক-প্রস্তর প্রাপ্ত হই, তাহা হইলে সর্ধস্ব বিক্রয় করিয়া তাহ ক্রয় করি এবং অন্যই পথে বাহির হইয়। পড়ি।” | প্রকৃত শক্তিশালী এবং গ্ৌরবান্বিত প্রতিভা সম্পন্ন ব্যক্তি সর্বত্রই পূজনীয়। গাহারাই মানুষের আদর্শ তাহারাই প্রকৃতির সুক্ষ শক্তির পরিচায়ক বিশ্বত্রহ্মাণ্ডে তাহাদের শক্তি বিমর্সিত। তাহাদের সহবাসে মানুষ সন্ধষ্ট শক্তিসম্পন্ন হয়। ভাবে বাকার্ধ্যে মানুষ তাছাদেরই সঙ্গে থাকিতে চাহে। আমাদের সম্তান-সম্ততি বা! নগর-গ্রামের নামকরণ) উহাদেরই নামে হইয়া থাকে। ভাষায় তাহাদের নামের ভূরি ভুরি প্রুয়োগ পাইবে। তাহাদের প্রতিকৃতি বা গ্রস্থাদি রূপ কার্যাবলী, আমাদের ঘরে খবরে দেখিবে। আমাদের নৈতিক কার্যে তাহাদের প্রত্যেক কাধ্য স্বৃতিপথে জাগিয়! উঠে। তাহাদেরই অন্বেষণ, যুবার স্বপ্ন এবং ব্্ষাঁয়ানের জাগরণ-কার্ধ্য যত দূরেই থাকি না, তাহাদিগের কাঁধ্যকলাপ এবং সম্ভবপর হইলে, তাহাদিগ্নকে দেখিবার জন্ত মন স্বতই ব্যাকুল হইয়া উঠে।,

বিদ্যামাগর |

এইব্নপ প্রতিভাশালী ব্যক্তিরই জীবনী প্রয়োজনীয় এই জন্তই এমার্সন্‌ বলিয়াছেন ;_.

1]1)9 86103 01 11000908618 616 762] ৪9106 1089 1)10018)))য 18 আঃ26918 10. 001: 10091.)

প্রতিভাই মানবের প্রকৃত পদার্থ। প্রতিভাশালীর জীবনই ইতিহাসে লিখিত হইয়া থাকে।

বিদ্যাসাগর মহাশয়ের জীবনে এমন প্রতিভারও বহু পরিচয়ই পাইবেন এক একটা প্রতিভাশালী ব্যক্তি যেমন এক একটী বিভাগ অধিকার করিয়া থাকেন, তেমনই বিদ্যাসাগর মহাশয় প্রকৃতির এক বিশাল বিভাগ লইয়! ব্যাপূত ছিলেন। মনোবৃত্তির উচ্চক্রিঘ্বানিবন্ধন প্রতিভাসম্পন্ন ব্যক্তি ধ্যানমাত্রেই কল্পনায় অন্তসাধারণের অলক্ষ্যে প্রকৃতির হৃশ্ম তত্ব হৃদয়ঙ্গম করিয়া লন। এই জন্যই প্লেটো, সেক্সপিয়র, হুইনবর্ণ, গেটে প্রভৃতির এত প্রতিষ্ঠা। এই জন্তই ইহাদের জীবনী এত প্রত্ধোজনীয়। বিদ্যাসাগরে শক্তিরও অভাব ছিল ন1।

মন্তি্ষ হৃদঘ্বের কাধ্য-ফল অব্যর্থ। জ্ঞান ভাবের শক্তি চিরস্তন-গ্রব-হুখদায়িনী। শক্তির তেজ পরীক্ষা করিতে হইলে, শক্তিশালী পুরুষের জীবনী পড়িতে হয়। বিদ্যাসাগর মহশিয়ের বছ কার্যেও শক্তির প্রমাণ আছে। বিখ্যাত- ইতিহাসবেভ্তা স্তর ওয়ালটর র্যালের সম্বন্ধে ইংলগ্ডেশ্বরী এলিজা- বেখের সচিব দিসিল বলিয়াছিলেন,-

“] [00 119 0270 011 161111017+

১০ বিদ্যাসাগর |

ওয়ালটর ভয়ানক পরিশ্রম করিতে পারেন। কথা শুনিলে যেন বৈছ্যতিক প্রভাবে সর্ধাঙ্গ আলোড়িত হইয়। উঠে। পাঠক! বিদ্যাসাগর মহাশয়ের জীবনী পাঠ করিলে বুঝিতে পারিবেন, সিসিঙগের কথা বিদ্যাসাগর মহাশয়েও খাটেকি না। বিখ্যাত বিলাতী ইতিহাস-লেখক র্লারেন্ডন্‌ হামডেন্‌ সম্বন্ধে বলিয়াছেন;

“৬1,0 ৯৪ 0120 1000861য 80৫ 16118008 150 60 108 0154. ০০৮ ০: -ত951190. 07 09 280৪6 12)081008.) &00 06 18168 206 %0 109 ঠ00])0860 ০2. যা 6৪ 10008 ৪80019 &0৭ 87810, 804 0£& 19978078] ০০০৪£৪ 60991 $0 1013 098 70205,” |

হামডেন্‌ অকাতরে পরিশ্রম করিতেন; তাহার সংপ্রবুদ্ধা তীক্ষদর্শিতা বিলক্ষণই ছিল।. তিনি অতি পরিশ্রমেও কাতর ক্লান্ত হইতেন না। চতুর তীক্ষবুদ্ধি লোকেও তাহাকে বিট- লিত করিতে পারিতেন না। তাহার বুদ্ধিমত্তা উদ্যমশীলতা সমান ছিল।

ইংলণ্ডের প্রথম চার্ণসের ভক্ত অনুচর ফকল্যাণ্ড সম্বন্ধেও ক্লারেন্ডন্‌ বলিয়াছেন 7

'81)0 ৪5 ৪0 5899 80. 9৫0০8 ০0 ৮1000) ৪৮ [9 020. &৪ 52811. 1১956 6190 10175)8614 1987 60 8658),

25৪ (0 0$856101)19?

ফকল্যাণ্ড এমনই হুদুঢ় সত্যপরায়ণ ছিলেন যে, চুরি করা

বিদ্যামাগর। ১১

তাহার পক্ষে যেমন অসম্ভব, আত্মগোপন করাও তদ্রপ অসম্ভব। , চীন দার্শনিক লু মন্বন্ধে চীন দার্শনিক মেনসয়াস্‌ বলিঘ্া- লন

“লুর র্যবহাঁরের কথা! গুনিলে অতি নির্বোধেরও বোধের সঞ্চার হয় এবং অস্থির চিন্তেরও একাগ্রত্ত। উপস্থিত হয়।”

বিদ্যাসাগর-জীবনে একাধারে এই হামডেন্, ফকল্যাও এবং লুর চরিত্র সমাবেশিত। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের জীবনী হইতেই এই সকলেরই শিক্ষা হয। ইহাও জীবনীর নৈতিক সার। এই জন্যই কার্লাইল্‌ বলিছাছেন ;--

“০৮ ০8] 20 0০ 00221001) 810980 06 7090) 00 11) ৪]] 81৮ ৮০০--৮71110)) 18 0] ৪110010 08 00200620078690 ৪0০] 000086৮90. 98881806 ৮190 17087, 810684 8100. 800৭7 -1310079])7 15 8117108% (1১9 0109 1101706 2099010].?

এই জন্যই বিদ্যাসাগরের জীবনী প্রয়োজনীয় আধুনিক জীবনী-লিধন-প্রথাই বিদেশী অনুকরণ। বিদেশীয় শক্তিশালী বড়লোকমাত্রেই বিদ্যাসাগরের শ্রীতিপাত্র ছিলেন; অতএব বিদেশীয় শক্তিশালী ব্যক্তিদ্িগের সহিত তাঁহার তুলনা অযৌ- নয়। কোন্ন না কোন বিদেশীয় শক্তিসম্পন্ন ব্যক্তির কোন না! কোন গুণ তাহাতে পরিলক্ষিত হইত।

“বিদ্যাসাগর-্চরিত” নামে, বিদ্যাসাগর মহাশয়ের ম্বরচিত অসম্পূর্ণ জীবনী তদীয় পুত্র শ্রীযুক্ত নারঞ্জণচত্ত্র বন্দোপাধ্যায়

১২ বিদ্যানাগর |

কর্তৃক প্রকাশিত হইয়াছে। কলিকাতা সংস্কৃত কলেজে প্রবেশ করিবার পূর্ববর্জী ঘটনাগুলি লইয়াই ইহা রচিত। নারায়ণ বাবু লিখিয়াছেন,_“ঘদ্ধি তিনি তাহার ছাত্র-জীবনের ইতিহাস নিজে লিখিয়া৷ যাইতে পারিতেন, তাহা। হইলেও তাহার জীঙ্গ- চরিত অম্পূর্ণ করা সহজ হইত।» নিজের জীবনী নিজে লিখিলে জীবন-বিবরণ ঘে সম্পূর্ণ হয়, তাহাতে. আর সনেহ কি? এতদ্বযতীত জীবনীর বিষয়ীভূত ব্যক্তির ভাষা, মনোবৃত্তি, ধর্প্রবৃত্তি, রীতি, নীতি প্রভৃতির অনেক আভাম পাইবার হুবিধা হযোগ হয়। জনমনের জীবনী লিখিতে বলিয়া জীবনী-লেখক বসওযেল্‌ বলিয়াছেন ;--

£1750 1015 0108010 72690 1718 0) 1109 870 00- 19700167111 ৮১৩ 01010100 10101. 119 1958 £1%670) 0108 9 008,078 1169 1079 09 10:8৮ 7166 05 1017008616) ৪০ 176 60101056030 109 2:6867ঘ815000 01118 ০৮৮0 18007) 005৮ 01581095501 08078095৯0৫ 81925180 ০৫106556610, 110 109 1088 67000910860 ৪0 17191 €10017)92% [১8780109) 11)9 010 ০] [1০2] 08৬০ 9 2008৮ 10605066380] 01 2০৪79017১৪6 96 66] 61707101669,

ডাক্তার জন্মন্‌ বলিতেন,। “নিজের জীবনবৃত্তান্ত মানুহ নিজেই :উদ্বম লিখিতে পারেন” . তিনি যে বিশদ বর্ণনায় এবং ন্বন্দর রচনায়, বছুসংধ্যক কীর্তিকুশল ব্যক্তির বিষয় লিপিবদ্ধ

বিদ্যামাগর ১৩

করিয়া তাহাদিগকে সত্ীবিত করিয়াছেন, ভাহাতেই তিনি যদি ন্গয়ং নিজের ইতিহাস লিখিতেন, তাহা! হইলে জগৎ তাহার নিকটে সর্বাবন্পবসম্পন্ন জীবনীর ৮৬৪ টান লাভ করিতে পারিত।

কথাট! ঠিক বটে; কিন্ত আত্মকথার হুক সমালোচনা হওয়া ছুদ্ধর। সে ভার বাহিরের লৌককে লইতে হয়। আত্মদোষ উদঘাটনে সাহস কয় জনের হইয়া থাকে? রুসোর “কনফেশন্‌* অর্থাৎ ত্রুটি শ্বীকার, ছুরস্ত দুঃমাহসিকতার কাজ। ভলটেয়ার ঠিকই বলিয়াছেন )-.

[10768918110 20010) 00 1185 1000 5010500100% 1:86৩- 10] 10 10100--000 20080 ভা1)0 0098 00 800288 0 1৩ 110 78280 10 17301, 0৮ 0629 &£৪ টি আট) 0100686]য $91] 9৪ ০ম 8৪ 0080889 0091৮ মা). ০৩৪৪৮,

মানুষের এমন দোষ ক্রটি থাকিতে পারে ঘে, তাহ বন্ধুর নিকটও প্রকাশ করিতে দ্বিধা হয়। বিখ্যাত ফরাসী গ্রন্থকার শ্টামর্ষে। বলিয়াছেন ;--

“16 896208 60 776 100)0831016) 20. ৮" 8০09] 80৩ 01 80016%5, 10: &এ 1080 60 51016 1018 86০7৪৮0069৮) 019 0365118 011718 01019৫69788. 1000. 10 101008911 900 9১০০ 81) 815 স্ব 68151058898 8100 1313 ৮1098) 60 ৪9], 018 098 11000

জন্‌ ষুয়ার্ট মিলের আত্মদীবনীতে সকল সন্দেহ দূর হয় না।

২.

১৪ বিদ্যামাগর।

স্কট, মুর এবং সাউদে আত্মজীবনী লিখিতে আরত করিয়া" ছিলেন; কিন্ত নানাবিধ সঙ্কোচ উপস্থিত হওয়ায়, তাহারা তাহা পরিভ্যাগ করেন। ভবে বিদ্যাসাগর মহাশয় যেরূপ সত্যপরায়ণ ছিলেন, তাহাতে তিনি) জর্ধস্থলে না হউক, অধিকাংশ স্থলেই ষে অনেক সত্য-প্রকাশে অকুঠিত হইতেন, তাহাতে সন্দেহ নাই।

প্রথম অধ্যায়।

জদ্ধস্থান, পূর্বব-বংশ, পিভৃ-পরিচয়, মাতৃ-পরিচয়, পিতামহ- মাহাত্্য, মাড়-ব্যাধি গর্ভ-লক্ষণে জ্যোতিষী

মেদিনীপুর জেলার অন্তবস্তা বীরসিংহ গ্রাম বিদ্যাসাগর মহাশয়ের জন্মস্থান। পূর্বে ইহা হুগলী জেলার অন্তর্ভূত ছিল। বন্গেশ্বর স্তর জর কাস্বেলের সঙ্গয় মেদিনীপুরের অন্তর্ভৃত হইয়াছে। তাহার পিতার নাম 'ঠান্ুরদাস বন্দ্যোপাধ্যায়। বীরসিৎহ গ্রাম কলিকাতা হইতে ২৬ ছাব্বিশ ক্রোশ দূরবস্তাঁ। কলিকাতা হইতে জলপথে বীরসিংহ গ্রামে যাইতে হইলে গল্গা, কপনারায়ণ নদী প্রভৃতি বহিষ্বা গিয়া খ্বাটালে উপস্থিড হইতে হয়। ঘাটাল হইতে বীরসিংহ ২০ আড়াই ক্রোশ। * বীরসিংহ গ্রাষ বিদ্যাসাগর মহাশয়ের জন্মস্থান বটে; কিন্ত ভ্াহার পিতৃ-পিতামহ বা তৎপুর্ব পুরুষদিগের জন্মস্থান নহে। তাহাদের জন্মন্থান হুগলী জেলার অন্তর্গত বনমালিপুর গ্রাম। এই গ্রাম তারকেশ্বরের পশ্চিমে জাহানাবাদ মহকুমার পুর্ব, চারি ক্রোশ দূরে অবস্থিত। এখন ইহাদের কিঞ্চিৎ পরিচয়, দেওয়া আবস্তক। ইহাদের অবস্থা-তুলনায় বিদ্যাসাগর মহা. * আজ কাল হোরমিলার কোম্পানীর ক্পমারে চড়িয়া ঘাটাল যাইবার, হৃবিধ। হইয়াছে। স্টামারের সুযোগে এখন এক দিনে বীরনিংহ গ্রাঙ্ে! ঘাওয়া যার। যখন ্রীমার চলিত না, তখন নোঁকা করিয়! যাইতে 81৫

চারি পাচ দিন লাগিত। স্থলপথে যাইতে হইলে গঙ্গার পরপারে শালিখার বাধ। রাস্ত। দিলা যাইতে হরী। ছুই দিলে পৌঁছান যায়।

১৬ বিদ্যামাগর |

শয়ের জীবনীর ওরুত্ব সবিশেষরূপে উপলব্ধি হইবে। এত সম্বন্ধে বিদ্যাসাগর মহাশয় স্বয়ং যাহা লিখিয়াছেন, তাহাই উদ্ধৃত হইল; কেন না, তাহাই সর্জাপেক্ষা প্রমাণ

“প্রপিতামহ-দেব ভুবনেশ্বর বিদ্যালস্কারের পাঁচ সন্তান জ্যেষ্ঠ নৃদিংহরাম, মধ্যম গল্গাধর, তৃতীয় রামজয়, চতুর্থ পঞ্চানন, পঞ্চম রামচরণ। তৃতীয় বামজয় তর্কভূষণ আমার পিতামহ খিদ্যালস্কার মহাশয়ের দ্েইাত্যয্বের পর, জ্যেষ্ঠ মধ্যম,

ংসারে কর্তৃত্ব করিতে লাগিলেন। জামান্ত বিষয় উপলক্ষে, তাহাদের সহিত রামজয় তর্কভূষণের কথাস্তর উপস্থিত হইয়া, ক্রমে বিলক্ষণ মনাস্তর টিয়া উঠিল। * ** তিনি কাহাকেও কিছু না৷ বলিয়া, এক কালে, দেশত্যাগী হইলেন।

পবীরমিৎহগ্রামে উমাপন্তি তর্কসিদ্ধাস্ত নামে এক অতি

প্রসিদ্ধ পতিত ছিলেন। ***রাম্জয় তর্কভূষণ এই উমাপতি তর্কমিদ্ধান্তের তৃতীয়া কন্তা ছুর্গা দেবী পাণিগ্রহণ করৈন। ছূর্গা দেবীর গর্ভে তর্কভূষণ মহাশয়ের ছুই পুত্র চারি কন্তা জন্মে জ্যেষ্ঠ ঠাকুরদাস, কনিষ্ঠ কালিদাস) ভ্যেষ্ঠা মঙ্্লা, মধ্যমা কমলা, তৃতীয়া গোবিন্দমণি, চতুর্ধী অনপূর্ণা। ভ্যেষ্ট ঠাকুরদা _ বন্দ্যোপাধ্যায় আমার জনক।

“রামজদ্ব তর্বভূধণ দেশত্যাণী হইলেন) দরদ দেবী, পুত্র- কন্তা লইয়া, বনমালিপুরের বাটীতে অবস্থিতি করিতে লাগি- লেন। অঙ্প দিনের ঘধ্যেই ছুর্মী। দেবীর লাগুনাভোগ তদীয় পুত্রকন্তাঁদের উপর কর্তৃপক্ষের ধ্মযত্ব জনাদর, এত দূর পধ্যস্ত

পিতৃ-পরিচয়। ১৭

ছইয়া উঠল যে, হুর্ণা দেবীকে, পুত্রদ্বয় কন্ঠাচতুষ্টর লইয়া, পিত্রালয়ে যাইতে হইল। * * * কতিপয় দিবস অতি সমাদরে অতিবাহিত হইল। হুর্গার্দেবীর পিতা, তর্কপিদ্ধান্ত মহাশয়, অতিশত্ব বৃদ্ধ হইয়াছিলেন; এজন্য সংসারের কর্তৃত্ব তদীয়

পুত্র রামন্ুন্দর বিদ্যাতুষণের হস্তে ছিল। রি রং রং রং

“কিছু দিনের মধ্যেই, পুত্রকন্ত। লইয়া, পিত্রালযে কালযাপন বরা ছুর্থা দেবীর পক্ষে বিলক্ষণ অহ্খের কারণ হইয়া উঠিল তিনি ত্বরায় বুঝিতে পারিলেন, তাহার ভাতা ত্রাতৃভাধ্য! তাহার উপর অতিশয় বিরূপ। * * অবশেষে হুর্ণী দেবীকে, পুত্রকন্ত। লইয়া, পিত্রালয় হইতে বহির্গত হইতে হইল। তর্কসিন্ধান্ত মহাশষ সাতিশত্ব ক্ষুদ্ধ দুঃখিত হইলেন এবৎ নীষ বাটার অনতিদুরে, এক কুটার নির্মিত করিয়া দিলেন ুর্গা দ্বেবী, পুত্রকন্তা লইয়া, দেই কুটারে অবস্থিতি অতি কষ্টে দিনপাত করিতে লানিলেন।

" সময়ে, টেকুয়া চরকায় হৃত কাটিয়া, সেই সুতা বেচিদ্বা, অনেক নিঃসহায় নিরুপায় ভ্ত্রীলোক আপনাদের গুলরান করিতেন। হুর্ণা দেবী মেই বৃত্তি অবলম্বন করিলেন। * * তাদৃশ স্বত্প আয় দ্বার। নিজের, ছুই পুত্রের চারি কন্যার ভরণপৌষ্ণ জম্পন্ন হওয়া সম্ভব নহে। কাহার পিতা) মমধে সময়ে, যথাসম্ভব সাহায্য করিতেন; তথাপি তীহাদের আহা" রা সর্কবিষয়ে,.ক্লেশের পরিমীমা ছিল না। এই সময়ে,

১৮ বিদ্যামাগর।

জো পুত্র ঠাক্ুরদাসের বয়ওক্রম ১৪:১৫ বখ্সর। তিমি মান দেবীর অনুমতি লইয়া, উপার্জনের চেষ্টায়, কলিকাতা প্রস্থান করিলেন

“সভারাম বাচস্পতি নামে আমাদের এক সন্নিহিত জ্ঞাতি কলিব্গতায় বাস করিয়াছিলেন। ত্তাহার পুত্র জগন্মোহ স্ায়ালঙ্কার, স্প্রসিদ্ধ চতুর স্তায়রত্বের নিকট ঘধ্যয়ন করেন। হায়ালঙ্কার মহাশয়, হ্যায়রত্ব মহাশয়ের প্রিয় শিষ্য ছিলেন) তাহার অহুগ্রহে সহাঘ্রতাঘব। কলিকাতায় বিলক্ষণ প্রতিপন্ন হয়েন। ঠাকুরদাস, এই সন্নিহিত জ্ঞাতির আবাদে উপস্থিত হইয়া, আত্মপরিচয় দিলেন এবং কি জন্ভে আসিয়াছেন,. অশ্রু- পূর্ণ লোচনে তাহ! ব্যজ করিয়া, আশ্রয় প্রার্থনা করিলেন। সায়ালস্কার মহাশয়ের সমর ভাগ, অকাতরে অন্নব্যয় করিতেন; এমন শ্থলে, হূর্দশাপন্ন আঘন্ন জ্ঞাতিসন্তানকে অন্্ দেওয়া ছুরহ ব্যাপার নহে তিনি, সাতিশয়ু দয়া সবিশেষ দৌজগ্ প্রদর্শনপূর্ঘক, ঠাকুরদামকে আশ্রয় প্রদান করিলেন।

ঠাকুরদা, প্রথমতঃ বনমালিপুরে তৎপরে বীরমিংহে, সংক্ষিগ্তপার ব্যাকরণ পড়িচা্িলেন। এক্ষণে তিনি, স্ায়ালক্কার মহাশয়ের চতুগ্পাঠীতে, রীতিমত্ত মংস্কত বিদ্যার অনুশীলন করিবেন, প্রথমতঃ এই ব্যবস্থা! স্থির হইয়াছিল এবং তিনিও

তাদৃশ অধ্যমন বিষয়ে, সবিশেষ অন্ুরন্ধ ছিলেন। কিন্তু, যে উদ্দেশে, তিনি কলিকাতায় আসিয়াছিলেন, সংস্কৃতপাঠে নিযুক্ত হইলে, তাহা সম্পন্ন হয় নাঁ। তিনি, মংস্থৃত পড়িবার জন্য,

পিতৃ-পরিগয় | ১৯

দবিশৈষ ব্যগ্র ছিলেন, যথার্থ বটে; এবৎ সর্বদাই মনে মনে প্রতিজ্ঞ! করিতেন, যত কষ্ট, যত অন্বিধা হউক না কেন, সংস্কতপাঠে প্রাণপণে ফত্ব করিব। কিন্তু, জননীকে ভাই তণিনীগুলিকে কি অবস্থায় রাখিয়া আসিয়াছেন, যখন তাহ! মনে হইত, তখন পে ব্যগ্রতা সে প্রতিজ্ঞা, তরী অন্তঃকরণ হইতে, একবারে অপসারিত হইত। যাহা হউক, অনেক বিবেচনার পর, অবশেষে ইহাই অবধারিত হইল, যাহাতে তিনি শীঘ্র উপার্জনক্ষম হন, দেবূপ পড়া-শুন1 করাই কর্তব্য। এই সময়ে, মোটামুটি ইঙ্গরেজী জানিলে, সওদাগর সাহেব- দিগের হৌসে, অনায়াসে কর্ম হইত। এজন্য, সংস্কৃত না পড়িয়, ইঙ্গরেজী পড়াই, তাহার পক্ষে, পরামর্শাসদ্ধ স্থির হইল। কিন্তু, সে সময়ে, ইন্গরেজী পড়া সহজ ব্যাপার ছিল না। তখন, এখনকার মত, প্রতি পরীতে ইঙ্গরেজী বিদ্যালমু ছিল না। তাদৃশ বিদ্যালয় থাকিলেও, তাহার স্তায় নিরুপায় ঘীন বালকের তথাত্ অধ্যয়নের হুবিধা ঘটত না। ভ্তায়ালগ্কার মহাশয়ের পরিচিত এক ব্যক্তি কার্ধ্যোপঘোগী ইঙ্গরেজী জানিতেন।. ঠাহার অনুরোধে, ব্যক্তি ঠাকুরদানকে ইঙ্গরেজী পড়াইতে সম্মত হইপেন। তিনি বিষয়ক করিতেন; হৃতরাৎ, দিবাভাগে, তীহার্ী পড়াইবার অবকাশ ছিল না। এজন, তিনি ঠাজুরদামকে, সবার অময় তাহার নিকটে যাইতে বলিয়া দ্রিলেন। তদনুনারে, ঠাকুরদাস, প্রত্যহ সন্ধ্যার পর) তাহার নিকটে গিপা ইঙ্গরেজী পড়িতে আরম্ভ করিলেন।

২৪ বিদ্যামাগর।

্নায়ালক্ষার মহাণয়ের বাটীতে, সন্ধ্যার পরেই, উপরি লোকের আহারের কাণ্ড শেষ হইয়া যাইত। ঠাকুরদাস, ইন্গরেজী পড়ার অনুরোধে, সে সময়ে উপস্থিত থাকিতে পারিতেন না; যখন আমিতেন, তখন আর আহার পাইবার সম্ভাবনা! থাকিত ন।) স্কৃতরাং, তাহাকে রাত্রিতে অনাহারে থাকিতে হুইত। এইব্ূপে নক্তন্তন আহারে বঞ্চিত হইয়া, তিনি, দিন দিন, শীর্ণ দুর্বল হইতে লাগিলেন। এক দ্দিন তাহার শিক্ষক জিজ্ঞাসা করিলেন, তুমি এমন শীর্ণ হুর্কাল হইতেছ, কেন। তিনি, কি কারণে তাহার সেন্ধপ অবস্থা ঘটিতেছে, অশ্রুপূর্ণ নয়নে তাহার পরিচয় দিলেন। সময়ে দেই স্থানে শিক্ষকের আত্মীয় শৃদ্র জাতীয় এক দয়ালু ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। সবিশেষ সমস্ত অবগত হইয়া, তিনি অতিশয় দুঃখিত হইলেন এবং ঠাকুরদাগপকে বলিলেন, যেপ্ধপ শুনিলাম, তাহাতে আর তোমার ওক্প স্থানে থাকা কোনও মতে চলিতেছে না। যদি তুমি রীঁধিয্বা খাইতে পার, তাহ। হইলে, আমি তোমায় আমার বাপাদ্র রাখিতে পারি। এই সয় প্রস্তাব শুনিয়া, ঠাকুরদাস, যার পর নাই, আহ্লাদিত হইলেন এবং পর দ্বিন অবধি, তাহার. বাসায় গিয়া অবস্থিতি করিতে লাণিলেন।

“এই সদাশয় দয়ালু মহাশয়ের দয়া সৌজন্ঠ যেরূপ ছিল, আদব সেরূপ ছিল না। তিনি, দালালি করিয়া, সামান্রূপ উপার্জন করিতেন। যাহা হুষ্টক, এই ব্যঞ্জির আশ্রয়ে আসিয়া,

পিহৃ-পরিচয়। ২১

ঠাকুরদাসের নিধিদ্বে, ছুই বেলা আহার ইঙ্গরেজী পড়া চলিতে লাগিল। কিছু দিন পরে, ঠাকুরদাসের দুর্ভাগ্যক্রমে তদদীয় আশ্রপ্নদাতার আষু বিলক্ষণ খর্ব হইয়া গেল; সুতরাং, তাহার নিজের তাহার আশ্রিত ঠাকুরদাসের অতিশয় কষ্ট উপস্থিত হইল। তিনি, প্রতিদিন, প্রাতঃকালে, বহির্গত হইতেন এবং কিছু হস্তগ্রত হইলে, কোনও দিন দেড় প্রহরের, কৌনও দিন ছুই প্রশ্বরের, কোনও দিন আড়াই প্রহরের সময়, বাসায় আমিতেন ; যাহ! আনিতেন, তাহ! দ্বারা, কোনও দিন বা কষ্টে, কোনও দিন বা সচ্ছন্দে, নিজের ঠাকুরদাসের আহার সম্পন্ন হইত। কোনও কোনও দিন, তিনি দ্িবাভাগে বাসায় আমিতেন না। সেই জেই দিন, ঠাকুরদাসকে, সমস্ত দিন, উপবামী থাকিতে হইত

“ঠাকুরদামের সামান্তরূপ এক খানি পিতলের থালা একটি ছোট ঘটা ছিল। থালাখানিতে ভাত ঘটাটিতে জল থাইতেন। তিনি বিবেচনা করিলেন, এক পয়সার সালপাত কিনিয়! রাখিলে, ১০। ১২ দিন ভাত খাওয়1 চলিবেক , সুতরাং

না থাকিলে,কাজ আট্কাইবেক না) অতএব, থালাখানি বেচিয়া ফেলি? বেচিয়া যাহা পাইব, তাহ! আপনার হাতে রাখিব। যে দিন, দিনের বেলায় আহারের*যোগাড় না হইবেক, এক পয়সার কিছু কিনিয়া খাইব। এই স্থির করিয়া, তিনি মেই থালাখানি, নূতন বাজারে, কাপারিদের দোকানে বেচিতে গেলেন। কীসারির। বলিল, আমরা অজানিত লোকের নিকট

২২ বিদ্যানীগর |

হইতে পুরাণ বাসন কিনিতে পারিব না। পুরাণ বাসন কিনিয়ী কখনও কখনও, বড় ফেসাতে পড়িতে হয়। অতএব আমরা তোমার থালা লইব না। এইরূপে কোনও দৌকানদারই সেই থালা কিনিতে সম্মত হইল না। ঠাকুরদা, বড় আশা করিয়া, থালা বেচিতে গিয়াছিলেন ); এক্ষণে, সে আশা বিসর্জন দিয্া, বিষ মনে বাসায় ফিরিয়া আসিলেন।

". «এক দিন, মধ্যাহ সময়ে, ক্ুধায় অস্থির হইয়া, ঠাকুরদা বাস। হইতে বহির্গত হইলেন এবং অন্তমনস্ক হইয়া, ক্ষুধার যাতন। ভূলিবার অভিপ্রায়ে, পথে পথে ভ্রমণ করিতে লাগিলেন। কিয়ৎক্ষণ ভ্রমণ করিয়া, তিনি অভিপ্রায়্ের সম্পূর্ণ বিপরীত ফল পাইলেন। ক্ষুধার যাতনা ভুলিয়া যাওয়। দুরে থাকুক, বড়বাজার হইতে ঠনঠনিয়া পর্য্যন্ত গিয়া, এত ক্লান্ত ক্ষুধায় তৃষ্ণায় এন্ত অভিভূত হইলেন যে, আর তাহার চলিবার ক্ষমতা রহিল না। কিঞ্চিৎ পরেই, তিনি এক দোকানের সম্মুথে উপস্থিত দণ্ডায়মান হইলেন; দেখিলেন, এক মধ্যবয়স্ক বিধবা নারী দোকানে বন্িয়! মুড়ি মুড়কি বেচিতেছেন। ত্রাহাকে দাঁড়াইয়া থাকিতে দেখিয়া, & স্ত্রীলোক জিজ্ঞাসা করিলেন, বাপাঠাকুর, ঠাড়াইয়।৷ আছ কেন। ঠাকুরদাস, তৃষণার উল্লেখ করিয়া, পানার্থে জল প্রার্থন! করিলেন তিনি, সাদর সন্গেহ- বাক্যে, ঠাকুরদাসকে বসিতে বলিলেন এবং ব্রাহ্মণের ছেলেকে সুধু জল দেওয়া অবিধেষ্ব, এই বিবেচনা করিয়া, কিছু মুড়কি ওজল দিলেন। ঠাকুরদাস, যেরূপ ব্যগ্র হইয়া, মুড়কিগলি

[বদ্যামাগরের জননী |

পিতৃ পরিচয়। [ইত

খাইলেন, তাহা! এক দৃষ্টিতে নিরীক্ষণ করিয়া, স্ত্রীলোক জিজ্ঞাসা করিলেন, বাপাঠাকুর আজ বুঝি তোমার খাওয়া হয় নাই। তিনি বলিলেন, না, মা আজ আমি, এখন পর্ধ্যস্ত, কিছুই খাই নাই। তখন, সেই স্ত্রীলোক ঠাকুরদাসকে বলিলেন, বাপাঠাকুর জল খাইওনা, একটু অপেক্ষা কর। এই বলিয়া নিকটবর্তী গোয়ালার দোকান হইতে, অত্বর দই কিনিয়। আনিলেন, এবং আরও মুড়কি দিয়া, ঠাকুরদাসূকে পেট ভরিয়া ফলার করাইলেন ; পরে, তাহার মুখে সবিশেষ সমস্ত অবগত হইয়া,জিদ করিয়া বলিয়া দিলেন, ষে দিন তোমার এরূপ স্বটিবেক, এখানে আসিয়া ফলার করিয়া যাইবে * ন€ ক্র সং

“যে যে দিন, দিবাভাগে আহারের যোগাড় না হইত, ঠাকুরদাস সেই সেই দিন, দয়াময়ীর আশ্বাসবাক্য অন্গুসারে তাহার দোকানে গিয়া, পেট ভরিয়া, ফলার করিস: আমিতেন। : সা সং

«কিছু দ্রিন পরে ঠাকুরদাস, আশ্রয়দাতার সহায়তায়, মামিক ইিই টাকা বেতনে, কোনও স্থানে নিযুক্ত হইলেন। এই কর্ম পাইয়া, তাহার আর আহ্লাদের সীমা রহিল না। পূর্কবৎ আশ্রয়পদাতার আশ্রয়ে-খাকিক়়া, আহারের ক্রেশ সহা করিয়াও, বেতনের ছুইটি টাকা ঘথানিয্মে, জননীর নিকট পাঠাইতে

* পিতা ঠাকুরদীদের মুখে এই উপাধ্যান শুনিয় স্ত্রীজাতির উপর

বিদ্যাসাগর মহাশয়ের প্রগাঢ় ভক্কি জন্মিয়াছিল। স্ত্রীজাতির প্রতি তিৰি চিরকাল তক্তিমান।

২৪ বিদ্যাসাগর

লাগিলেন। তিনি বিলক্ষণ বুদ্ধিমান যার পর নাই পরিশ্রমী ছিলেন, এবং কখনও কোন ওজর না করিয়! সকল কর্্মই হুন্দর- রূপে সম্পন্ন করিতেন; এন্কন্ত, ঠাকুরদাস যখন হাহার নিকট কর্ম করিতেন, তাহার! সকলেই তাহার উপর জাতিশয় সন্তুষ্ট হইতেন। |

«ছুই তিন বৎসরের পরেই, ঠাকুরদাস মাসিক পাঁচ টাকা বেতন পাইতে লাগিলেন। তখন ত্রাহার জননীর ভাই ভগ্গিনীগুলির অপেক্ষাকৃত অনেক অংশে কষ্ট দূর হইল। এই সময়ে, পিতামহদেবও দেশে প্রত্যাগমন করিলেন তিনি প্রধমতঃ বনমালিপুরে গিয়াছিলেন; তথায় স্ত্রী, পুত্র কন্ত দেখিতে না পাইয়া, বীরস্ধিহে আসিয়া পরিবারবর্গের সহিত মিলিত হইলেন। সাত আট বৎসরের পর, তাহার সম।গম- লাতে, সকলেই আহ্লাদমাগরে মগ্ন হইলেন। শ্বশুরালয়ে, বা শ্বশুরালয়ের সন্রিকটে, বাস কর] তিনি অবমাননা জ্বান করিতেন) এজন্ত কিছু দিন পরেই, পরিবার লইয়া, বনমালিপুছে সইতে উদ্যত হইয়াছিলেন। কিন্ত দুর্গা দেবীর মুখে ভ্রাতাদের আচরণের পরিচয় পাইয়া, সে উদ্যম হইতে বিরত হইলেন, এবং নিতাত্ত অনিচ্ছাপূর্মক বীরসিৎহে অবস্থিতি বিষয়ে সম্মতি প্রদান করিশেন। এইরূপে, বীরপ্সিৎহগ্রাম আমাদের বাস হইয়াছিল।

“বীরসিংহে কতিপয় দিবম অতিবাহিত করিয়া, তর্বভূষণ মহাশয়, জ্যেষ্ঠ পুত্র ঠাকুরদাসকে দেখিবার জন্য, কলিকাতা

পিত-পরিচয়। ২৫

প্রস্থান করিলেন। ঠাকুরদাসের আশ্রমদাতার মুখে, উদীয় কই্সহিষ্ণতা প্রভৃতির প্রভৃত পরিচয় পাইস্জা, তিনি যথেষ্ট আনীর্মাদ সবিশেষ সন্তোষ প্রকাশ করিলেন। বড়বাজারের দয়েছাটায়, উত্তর-রাটীঘ কায্স্থ ভাগবতচরণ সিংহ নামে এক স্দতিপন্ন ব্যক্তি ছিলেন। এই ব্যঞ্রির সহিত তর্লভুবণ মহাশয়ের বিলক্ষণ পর্চিন্ন ছিল। সিংহ মহাশত অতিশন্ দয়াশীল ভদাশয় মনুষ্য ছিলেন, তর্কভূষণ মহাশদের মুধে তদীযম় দেশত্যাগ অবধি ষাবতীয় বৃত্তাস্ত অবগত হইস্পা, প্রস্তাব করিলেন, আপনি অতঃপর ঠাকুরদাসকে আমার বাদি রাখুন, আমি তাহার আহার প্রভৃতির তার লইতেছি; সে যখন স্বয়ং পাক করিয়া খাইছুত পারে, তখন আর তাহার কোনও অংশে অসুবিধা ঘটবেক না।

“এই প্রস্তাব শুনিয়া, তর্ক ভূষণ মহাশয়, সাতিশম্ব আহ্লাদিত লেন; এবং ঠাকুরদ্াসকে দিংহ মহাশয়ের আশ্রয়ে রাখিয়া, ্লসিংহে প্রতিগমন করিপ্রেন। এই অবধি, ঠাকুরদামের হারক্লেশের অবদান হইল। যথাসময়ে আবশ্যকমত, ছুই লা আহার পাইয়া, তিনি পুনর্জন্ম জ্ঞান করিলেন। এই ্টভৎটনা হ্বারা, তাহার ষে কেবল আহারের ক্লেশ দূর হইল, ্ি্প নহে? পিংহ মহাশয়ের সহায়তায়, মামিক আট টাকা স্র্তনে এক হানে নিযুক্ত হইলেন। ঠাহুরদধাদের আট টাক] ত্ঘানা হইয়াছে, এই সংবাদ শুনিষ্ী, তদীক়্ জননী দূর্গ ধীর আহলাদের মীমা রহিল না।

২৬ বিদা'নাগর

«এই সময়ে ঠাহুরদাসের বজ্তংক্রম তেইশ চব্িশ বৎসর হইয়াছিল।* অতঃপর তাঁহার বিবাহ দেওয়া আবস্াব্জ বিবেচনা! করিয়া, তর্কভুষণ মহাশয় গোষাট-নিবাসী রামকান্ত তর্কবাণীশের দ্বিতীদ্ব কন্তা ভগবতী দেবীর সহিত, তাহার বিবাহ দিলেন। এই ভগবতী দেবীর গর্ভে আমি জন্মগ্রহণ করিয়াছি ভগব্তী দেবী, শৈশবকালে মাতুলালয়ে প্রতি- পালিত হইয়াছিলেন।” রর

রামকান্ত তর্কবাণীশ শব-সাধলীয় সিদ্ধ হইতে গিয়া উদ্মাদ- গ্রস্ত হইয়া যান। এই জন্য পাতুলগ্রাম-নিবাসী তদীয় শ্বশুর পঞ্চানন বিদ্যাবাণীশ মহাশঘ তাহাকে সম্্ীক নিজ ভঙ্গনে আনিঘ়া রাখেন। বহুনিধ ভিকিৎসাতে তর্কবাণীশ মহাশয় আরোগা লাভ করেন নাই। মু্যুকাল পর্ধাস্ত তিনি উন্মাদএস্ট ভিলেন। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের জননী ভগবতী দেবী সেই ভন্য মাতুলালম়েই প্রতিপালিত হন। তর্কবাণীশ মহাশয়ের হই কন্তা। ভগব্তী দেবী কনি্ঠা!। ভগবতী দেবীর জলনীর নাম গঙ্গ| দেবী ইনি পঞ্চানন বিদ্যাবাগীশ মহাশয়ের জ্যেষ্ঠা কন্যা। বিদ্যাবারীশ মহাশয়ের চারি পুত্র আর একটা কন্যা ছিল।

বিদ্যাসাগরু মহাশয়ের তেজস্থিতা, স্বাধীনতা-প্রিয়তা, সতা-

সগাশাপশাটিপাপিপিপিতা পপ পপি পাপ শপ পপ পপ

শত পল পাপা

শুনিয়াছি, এই নময়ে ঠাকুরদামের কনিষ্ঠ কালিদাস কলিকাতায় আনিয়া ইংরেজী শিক্ষা লাভ করেন। কনিষ্ঠ ভ্রাতা ক্]র্যাক্ষম হইলে, আাহাকে নিজ কার্ধো হাখিয়! ঠাকুরদান প্রথমে রেশম তখগরে বালনের বাবসার করেন কনিষ্ঠ দাও] কাদা হুন্দর্ধপে না| চলায়, তিনি আবার ইচ্ছা পূর্বক নত স্বকর্টে- নিযুক্ত হন।

পিতাঁমহ-মাহাত্র্য। ২৭

ধর্দিতা সরলতা চির-প্রসিদ্ধ। তিনি এই সব গুণ পিতা পিতামহের নিকট হইতে প্রাপ্ত হঙ্ঈয়াছেন বলিয়াই মনে হয়। পিতামহ রামজয় তর্কভূষঘণ অসীম তেজন্বী পুরুষ ছিলেন। তিনি কাহারও মুখাপেক্ষ। করিতেন না এবং পর-শী-কাতর ব্যক্তিবর্গে় জভঙ্গীতে ভীত হইতৈন না। তিনি এইক্প স্থাধীন-প্রকতি লোক ছিলেন বলিয়া, তাহার শ্যালক তংপক্ষীয় লোক তাহার বিপক্ষ ছিলেন। ভাহার মতে “দেশে মানুষ ছিল না, মবই গ্রক্ু।” তিনি ফেমন সংসাহমী, তেমনই নিরহস্কার সত্যবাদী ছিলেন। ভট্রাচার্ধ্য ব্রাহ্মণের একটু শ্লেষাত্বক রসিকতার পরিচয় লউন। এক দিন তিনি গ্রামের পথ দিয়া যাইতেছিলেন। এক জন বলিল,--"ও পথ দিয়া ঘাইবেন না; বড় বিষ্টা।” ত্রাঙ্গণ উন্তর করিলেন,__“বিষ্টা কৈ? সবই তো গোবর, দেশে মানুষ কৈ, সবই. তো গ্রকু।” কথিত আছে, তিনি যখন গৃহ ত্যাগ করিয়া ভীর্ঘপর্ধযটটন করেন, তখন এক দিন রাত্রিকালে স্বপ্র দেখেন,“তোমার পরিবার তোমার জন্মস্থান বনমালিপুর পরিত্যাগ করিয়া! বীরসিৎহ গ্রামে বাস করিতেছে। তাহাদের এখন কষ্টের একশেষ |” ইহার পর তিনি বীরমিংহে প্রত্যা- গমন করিয়া পুনরায় পরিবারবর্গের তার গ্রহণ করেন।

বীরলিংহ গ্রামের ভূগগামী তাহাকে তাহার বাম্বতিটার ভূমিটুকু নিক্ধর ব্রন্গোন্তর করিয়া দিতে চাহেন এবং ্ঠাহার

আাত্বীয-স্বজনও তাহাকে তদ্গ্রহণার্থ অনুরোধ করেন। তেজশ্থী রাথ্জয়ের বিশ্বান্ ছিল যে, নিক্কর ভূমিতে বাস করিলে

২৮ বিদ্যাসাগর

ছুস্বামী তাহার পুণ্যাংশ গ্রহণ করিবেন এবং তাহার অহঙ্কার বাড়িবে। এই জন্ত তিনি নিদ্ধর ভূমি লইতে অন্মত হন নাই। বিদ্যাসাগর মহাশয় স্বরচিত চরিতে পিতামহ সম্বন্ধে এইরূপ লিখিয়াছেন,__

“তিনি কখন পরের উপাসন! বা আনুগত্য করিতে পারেন নাই। তাহার স্থির সিদ্ধান্ত ছিল, অঙ্কের উপাদনা বা আম্ু- গত্য অপেক্ষা প্রাণত্যাগ করা ভাল। তিনি একাহারী, নিরামিষাশী, সদাচারপুত নৈমিত্তিক কর্শে সবিশেষ অবহিত ছিলেন ।”

রাম্জয়্ের বিপুল হৃদয়প-বলের স্তায় শারীরিক বল ছিল। মনের বল থাকিলে, দেহের বল যেন আপনি আসিয়া পড়ে। দেহ-মনের এমনই নিত্য নিকট সম্বন্ধ * বিদ্যাসাগর মহাশয়ে ইহা আমর! প্রত্যক্ষ করিয়াছি; পিতামহ রামজয়ের কথা শুনিয়াছি। রামজয় সর্বদাই লৌহদণ্ড হস্তে নিতাঁক চিন্তে ভ্রমণ -করিতেন। এক সময় তিনি বীব্সিংহ হইতে মেদিনীপুর ষাইতেছিলেন, পথের মধ্যে এক ভন্লুক গ্ভাহাকে আক্রমণ করে। তিনি ভন্ুককে দ্েখিয়াই এক বৃক্ষের অন্তরালে দণ্ডীমমান হন। ভনুকও তাহাকে ধরিবার চেষ্টা করে। তন্ুক যেমন ছুইটা হস্ত প্রসারণ করিয়া ধরিতে যাইল, তিনি অমনই তাহার ছ্‌ইটা হাত ধরিয়া বৃক্ষে ঘর্ষণ করিতে লাগিলেন।

* লন্বন্ধে অবন্ঠ দার্শনিকদের ভিতর মততেদ আছে। মেমব কা লইয়! বিচার করিবার স্থান নয়।

মাতৃ-স্যাধি। ২৯

শখনই ভ্ুক মৃতপ্রাপ্ হইয়া পড়িল। রামজয় তাহাকে মৃতপ্রাদ দেখি! চলিয়া যাইবার উপক্রম করিলেন। ভলুক ক্ষিন্ত তাহার পশ্চাদূভাগে নখরাখাত করে। রামজয় তখন অনন্তোপায় হইয়া হস্তন্থিত লৌহদণ্ড-আঘাতে তাহার প্রাণ নাশ করেন। তাহাকে প্রায় মাসাধিক নখরাধাতের ক্ষতজনিত ক্লেশ ভোগ করিতে হইয়াছিল। মৃত্যুকাণ পর্যন্ত নখবাাতের চিহ্ত ছিল। ঠাকুরদা কাধ্যক্ষম হইলেই রামজষ় পুনরায় তীর্থ-ভ্রমণে বহির্গত হন। বিদ্যাদাগরের জন্মগ্রহণ করিবার পুর্বে তিন্দি আবার ফিরিয়া আসেন * রামজয় যখন বীরসিংহ গ্রামে প্রত্যাগমন ক্রেন, তখন তহার পুত্রবধূ ভগ্বব্তী দ্রেবী গর্ভবতী; কিন্তু উন্মাদগ্রস্থ। ভগবতী দেবী, ঈশ্বরচন্ত্রকে গর্ভে ধারণ করিয়া অবধি উন্মাদগ্রক্কা হন। ১০ দর্শ মাস কাল এই উন্মাদ.অবস্থাই ছিল বিচিত্র ব্যাপার! ১* দশ মাস কাল নান! চিকিৎসায় কোন্‌ লৌদ্রয়, হয নাই; কিন্তু ঈশ্বরচন্্রকে প্রসব করিবার পরই ভগবতী দেবী রোগমুক্তা হন। তিনি আর কখন এরূপ রোগে আক্রান্ত হন নাই। চিরকালই তিনি অটুট উৎসাহে দ্বীন-হীন কাঙালকে অন্ন-বস্ত্র বিতরণ করিতেন; স্বয়ৎ রম্বন এবং পরিবেশনাদি করিয়া দ্বিবা-নিশি অতিথি-অভ্যাগত জনকে

পপপিপপী পিপিপি টি পাপ পবা পপ

* কথিত আছে,_রামজয় কেদার পাহাড়ে ম্বপ্ন দেখেন যে, তাভার বংশে এক স্পুত্র জন্মগ্রহণ করিবেন | তাহার কীর্তি চিরস্থায়িনী হইবে।

সেই সুপুত্র এই বিদ্যাসাগর বিদ্যাসাগর মহাশয়ের স্বরচিত চরিতে ইহা উল্লেখ নাই।

৩০ বিদ্যাসাগর |

ভোজন করাইতেন। বিদ্যাসাগরের জননীর মত দয়াদাক্ষিণ/, বতী রমধী প্রায় দেখা যায় না। এই অন্নপূর্ণা স্বর্ণগর্ভা জননীর পরিচয় পাঠক পরে পাইবেন। এই করুণাময়ীরই করুণা-কণা পাইয়া, অতুল মাতৃভক্তিবলে বিদ্যাসাগর মহাশয় জগতে করুণাময় নাম রাখিয়া গিয়াছেন। ইংরেজি-শিক্ষিত মুবক! যদ্দি জজ হার্বটের সেই বাণীর সার্থকতা দেখিতে চাও, একমাত্র জননীই শত শিক্ষকের সমান; দেখিতে পাইবে, বিদ্যাসাগর মহাশয়ের জননী-জীবনেও-_

40009 (0০0. 09009]: $8 0:৮৮ ৪. 1000169 50100] 10 86718,৯

আজকাল অনেক জ্যোতিষ-ব্যবসায়ীর প্রতি লৌকে নানা কারণে বীতশ্রব্ধ হইয়া পড়িয়াছে; কিন্ত পূর্বে একূপ ছিল না। পুর্বে জ্যোতিষীদের গণনার ফল প্রায়ই মিথ্যা হইত না। বিদ্যাসাগর মহাশয্বের জন্মগ্রহণ করিবার পূর্বে, তদানীন্তন জ্যোতিষ ভবানন্দ ভট্টাচার্ধ্য মহাশয় গণনা করিয়া বলিয়া- ছিলেন্৮_“তগবতী দেবীর গর্ডে দয়ার অবতার জন্মগ্রহণ করিবেন। ইনি জন্মগ্রহণ করিলেই ভর্গবতী দেবীর রোগ সারিয়া যাইবে।” হুইলও তাহাই ভবাননের অব্যর্থ বাশ ্রত্যক্ষীভূত হইল। এই জন্যই হউক বা অন্ত কারণে হউক,

বিদ্যাসাগর মহাশয় জ্যোতিষশান্ের প্রতি চিরকালই ভক্তিমান ছিলেন।

দ্বিতীয় অধ্যায়।

জঙ্গ, কোরঠী-বিচার, পাঠশালার শিক্ষা, পাঠশালায় প্রতিভা, বাল্য চাপল্য) বাল্য প্রতিভা, কলিকাতায় আগমন, পীড়িত অবস্থায় প্রতিগমন) পুনরাগমন শিক্ষার ব্যবস্থা

১২২৭ সালের ১২ই আশ্বিন বা ১৮২০ শ্বষ্টাব্ের ২৬শে মেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দিবা দ্বপ্রহরের সময্ধ ঈগরচন্্র জন্মগ্রহণ করেন।

ঈষ্বরচন্্র যখন জন্মগ্রহণ করেন, তখন তাহার পিতা ঠাকুর- গান বাড়ীতে ছিলেন না) কুমারণপ্রের হাটে গিয়াছিলেন। কুমারগঞ্জ বীরসিংহ গ্রামের অর্ধ ক্রোশ অন্তরে হাট হইতে প্রত্যাঞ্মন করিবার সময় তাহার সহিত পিতা রামজযের পথে সাক্ষাৎ হয়। রামজর বলিলেন,-"ঠাকুরদাস! আজ আমাদের এঁড়ে বাছুর হয়েছে।” রামজয়, পৌত্র ঈশ্বরচন্্রকেই লক্ষ্য করিয়া রহস্তচ্ছলে, এই কথা বলিয়াছিলেন। এই রহস্কের ভিতর কিন্তু সদ্যোজাত শিশুর ভবিষ্যৎ জীবনের প্রকৃত পূর্ব(ভাম নিহিত ছিল!